উখিয়া নিউজ ডটকম::
টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পে আনসার ব্যারাকে হামলার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর চিরুনী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তল্লাশী ও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হচ্ছে। তবে ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়নি বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন স্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে সন্দেহমূলক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ জন নারী-পুরুষকে আটক করেছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে। ১৬ মে টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ও রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে এদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড থেকে মুজিব(২৫), আজিজ (৩০), গণি(২০), তোফাইল (২৫), নুরন্নবী (২৩) ও ক্যাম্পের ডি ব্লকেকর বাসিন্দা মোঃ হোসেন ওরপে রফিক ডাকাতের দুই স্ত্রী হুমাইরা(২৩) ও আনোয়ারা(২০) বলে জানা গেছে।
১৪ মে শরনার্থী ক্যাম্পে আনসার ব্যারাকে সংঘটিত ঘটনাস্থল পরিদর্শণ কালে আনসার-বিডিপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান পিএসসি বলেছিলেন, দূস্কৃতিকারীদের কোন জাত নেই। কোন জঙ্গি গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা সে সম্ভাবনাও অস্বীকার করেনি। তবে জোর দিয়েও বলেননি। সবদিক বিবেচনা করে তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছিলেন। অচিরেই হত্যাকারীদের ধরার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এদের ধরতে প্রয়োজনে হেলিকপটার ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন।
এদিকে আনসার ব্যারাকে হামলার ঘটনায় শরনার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দারা আতংকে আছেন বলে জানান ক্যাম্পে বসবাসকারী বাসিন্দারা। বি ব্লকের বাসিন্দা রোহিঙ্গা নাগরিক সৈয়দ আহমদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার বাহিনীর উপর দূর্বৃত্ত্ব কর্তৃক হামলার ঘটনায় ক্যাম্পের বাসিন্দারাও শংকিত। তিনি আরো বলেন, যারা দিন-রাত পরিশ্রম করে ক্যাম্প পাহারা দিয়ে এসব দূষ্কৃতিকারীদের কবল থেকে রক্ষা করে যাচ্ছেন তাদের উপর হামলা অতি দুঃখজনক। এঘটনায় তারা আাতংকের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হামলাকারীদের ধরতে আইন শৃংখলা বাহিনীর যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করে তাদের স্ব-স্ব স্থলে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে। থানায় না দেওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা। এরা আনসার বাহিনীর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আছে কিনা তাও বলা যাচ্ছেনা।
উল্লেখ্য গত ১৩ মে ভোর রাতে নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের শালবন আনসার ক্যাম্পে দুর্বৃত্ত্বরা হামলা চালিয়ে আনসার পিসি আলী হোসেনকে হত্যা করে এবং ১১ টি অস্ত্র ও ৬৭০ পিস গুলি লুট করে।
এঘটনায় ৩৫ জন কে অজ্ঞাত আসামী করে ট্কেনাফ মডেল থানায় মামলায় দায়ের করেছে।
পাঠকের মতামত